বাউফল উপজেলা বাউফল উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলগুলোতে গরু চুরির হিড়িক পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকায় বিরাজ করছে চোর আতঙ্ক । কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে এঘটনা বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সারা বছর জুড়ে চুরির ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতিক সময়ে বেশ বেড়েছে গরু, মহিষ ও ছাগল চুরির ঘটনা। উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়ন থেকেই শতাধিক গরু ১০টির বেশি মহিষ ও ছাগল চুরি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। শুধু কেশবপুর নয় উপজেলার কালিশুরী, ধুলিয়া, কাছিপাড়া, কালাইয়া ও চন্দ্রদ্বীপের চরাঞ্চলে বেড়েছে গরু চুরির ঘটনা। ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন গরু ব্যবসায়ি ও কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলে প্রায় প্রতিটি ঘরে দু’চারটি গরু রয়েছে। এছারা আর মাত্র কয়েক দিন পরে কোরবানী। কোরবানীকে সামনে রেখে অনেক বাড়িতে গরু মহিষ লালন পালন করছেন স্থানীয় কৃষক। কিন্তু সম্প্রতি কালে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে চুরিরর ঘটনা বেড়েছে। গত তিন মাসে ২শতাধিক গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। দিনের আলোতে চরাঞ্চলের গরু, ছাগল ও মহিষ চুরি হয়। তাই দিন রাত মিলিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কে দিন কাটছে কৃষকের। তবে চুরির তালিকায় গরু সবচে পছন্দ চোরচক্রের। তাই মালিকরা গোয়ালে ঘুমিয়ে পাহাড়ায় থাকছেন।
প্রায় প্রতিনিয়ত চোরদের আনাগোনা থাকে এলাকাতে। সম্প্রতি ধুলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামের কালামিয়া বাজার এলাকায় গরু চুরি করে ট্রলার ভর্তি করে পালানোর সময় স্থানীয় জেলেরা টের পেয়ে ধাওয়া করলে ট্রলারসহ গরু রেখে পালিয়ে যায় চোরচক্র। পরে ট্রলারটি আটক করে স্থানীয়রা।
উপজেলার মমিনপুর গ্রামের আবুল কাশেম ফরাজী জানান, দিনের বেলা মমিনপুর চরে ৪টি গরু ঘাস খেতে খোলা ছেরে দেন তিনি। বিকালে গিয়ে দেখেন একটি গরুও নেই। অনেক খোঁজাখঁুজি করেও গরুগুলি আর পাননি।
কেশবপুরের বাসিন্দা কাওসার ব্যাপারী নামের এক ব্যক্তি জানান, গত বৃহস্পতি বার মধ্যে রাতে তার গোয়ালে বাঁধা ৪টি গরু চোরে নিয়ে যায়। গরুগুলির আনুমানিক মূল্য সারে ৩লাখ টাকা। এব্যপারে গত রবিবার বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
একইভাবে সুলতান মুন্সি, হোসেন রাড়ি, লালমোহন দাস, তাপস দাস, আউয়াল হাং, সেকান্দার হাং, শহিদুল, সাইফুল, কবির খন্দাকারসহ অর্ধশতাধিক চুরি যাওয়া গরুর মালিক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের গরু চোরে নিয়ে গেছে তাই ঘুমাতে পারছি। কিন্তু এখনও যাদের গোয়ালে গরু আছে তারা রাতে চোরের ভয়ে ঘুমাতে পারছেন না। কেউ আবার গোয়াল ঘরে গরুর সাথে ঘুমিয়ে পাহারায় থাকেন।’
এব্যপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, চর এলাকা একটু দুর্গম হওয়ায় কিছুটা চুরির ঘটনা ঘটতেছে। চোরচক্র চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ঈদকে সামনে রেখে আমার রাত্রিকালীন পুলিশি টহল জোরদার করেছি। আশা করছি এধরনের সমস্যা আর হবে না।