পটুয়াখালীর বাউফলে থানা থেকে মাত্র ৫শ মিটার দূরে তিনটি আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তি চললেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। অভিযোগ রয়েছে ওই তিনটি আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশকে মাসেওয়ারা দেয়া হয়। যে কারণে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়না। রবিবার (৩ জুলাই) বিকাল তিনটা পর্যন্ত পর্যবেক্ষন করে দেখা গেছে, বাউফল থানর পূর্বপাশে কালাইয়া –
বাউফল পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ড কালাইয়া বাউফল সড়কে সৌদিয়া মার্কেটের পাশে তিনটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। নামে আবাসিক হোটেল হলে ভিতরে চলে অসামাজিক কর্মকান্ড। হোটেল কর্তৃপক্ষ বাহির থেকে কন্টাকে নারী এনে পতিতাবৃত্তি করাচ্ছেন। এসব হোটেলের আশপাশে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বীমা অফিস রয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে পতিতাবৃত্তির কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।স্থানীয় লোকজন এ অসামাজিক কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ।
সরেজমিন শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা, শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা ও রবিবার বার সকাল ১০টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত হোটেল তিনটির আশপাশে অবস্থান করে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের নারীরা এসে হোটেলে অবস্থান করেন। প্রতিদিন ২ হাজার টাকা কন্টাকে এসব নারীদের হোটেলে আনা হয়। এরপর তারা খদ্দেরের সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। পছন্দ অনুযায়ি খদ্দেরদের কাছ থেকে ৫শ থেকে ১হাজার টাকা নেয়া হয়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ বিষয়টি জানিয়ে বাউফল থানার ওসিকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও এই পুলিশ পাঠাচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করেন । ওই দিন ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হলেও পুলিশ আসেনি। শনিবারও একই অবস্থা হয়েছে। রবিবার দুপুরে এ বিষয় নিয়ে ওসিকে পুনরায় ফোন দেয়া হলে ২৩ মিনিট পরে ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়। অথচ থানা থেকে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে আসতে ২মিনিটের বেশী সময় লাগার কথা নয়। পুলিশ এসে আলআমিন নামের একটি হোটেলে অভিযান করে । সেখানে একজন ২০-২২ বছর বয়সী নারীকে অবস্থান করতে দেখেন। হোটেলের রেজিস্ট্রার তার নাম নেই। এ খবর পেয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ওই হোটেলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি জেড়ার মুখে ওই নারী স্বীকার করেন হোটেল মালিক তাকে ২ হাজার টাকা কন্টাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওই নারী কিংবা হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে চলে যান। স্থানীয় লোকজন এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন,‘ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।