ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলার আসামিকে কমিটি রেখে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়ায় ক্ষুব্ধ সংগঠনটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলার আসামি কোনো ভাবেই সংগঠনের দায়িত্বশীল পদ-পদবিতে আসতে পারে না।
জানা গেছে, রোববার (২৫ জুলাই) বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। জেলা শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ আংশিক কমিটি আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেন তারা। তবে কমিটি ঘোষণার পরপরই অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলার চার নম্বর আসামিকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে।
তিনি হলেন নবঘোষিত কমিটির নব ঘোষিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মারজান। তার বিরুদ্ধে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ কর্র্মী ক্লিনটন মজুমদার টিটু হত্যায় জরিত থাকার অভিযোগ আছে। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ আব্দুল্লাহ আল মারজান। অভিযোগ বিষয়ে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, এটার (হত্যার) ঘটণা এখানকার (বরগুনার) নয়। এটা পিরোজপুরের ঘটণা। আপনি (সাংবাদিক) কোথাও মনে হয় মিস্টেক করছেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে নারাজ বরগুনা স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি- বিষয়টি সঠিক ভাবে খোঁজখবর নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক নিপুল। তিনি তার ফেসবুক পেজে লিখেন, এবার হত্যা মামলার আসামী ও ছাত্রদল কর্মী বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি আরও লিখেন, আর কত অভিশাপ নিলে ছাত্রলীগ মুক্তি পাবে এদের হাত থেকে..!
কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে এবং সে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান নবঘোষিত বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান । তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর কমিটি ঘোষণা হয়েছে। এতোদিন পর নতুন কমিটি হওয়ায় ছাত্রলীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীরা খুশী। এমন অবস্থায় এই কমিটির কারো বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ ওঠে এবং তা প্রমাণিত হয়। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, পদপ্রত্যাশীদের খোঁজখবর নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে যদি এমন অভিযোগ ওঠে। সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।