কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ভুয়া শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেয়ার স্বপক্ষে উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি শাহবাজার এ এইচ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র সচিব আবুল কাশেম সরকার। শনিবার সকালে ওই কেন্দ্র সচিবের কার্যালয়ে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রদত্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হন। তবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার দাবীকারী শাহানুর আলম প্রদত্ত কিছু কাগজপত্র তিনি সাংবাদিকদের দেখান। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার প্রকৃত সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া শিক্ষক তালিকা জমা দিয়েছেন কিনা প্রশ্ন করলে তালিকা পেয়েছেন বলে জানান। দুই সুপারের তালিকা থেকে কক্ষ পরিদর্শক না দিয়ে শুধুমাত্র শাহানুর আলমের তালিকা থেকে কক্ষ পরিদর্শক দেয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে শাহানুর আলম প্রদত্ত তালিকা সঠিক মনে হয়েছে তাই ওই তালিকার শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়েছি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিষেধ করায় পরবর্তী পরীক্ষা গুলোতে ওই প্রতিষ্ঠানের আর কোন শিক্ষককেই কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেয়া হবেনা বলে তিনি জানান।
উল্লেখ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ১০ জন শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ করান শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া। সে অনুযায়ী ১৫/০৯/২০২২ ইং তারিখ অনুষ্ঠিত কুরআন মজিদ ও তাজভিদ বিষয়ের পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনের জন্য কেন্দ্র সচিব আবুল কাশেম সরকারের নিকট ব্যানবেইজ ভুক্ত শিক্ষকদের তালিকা প্রদান করেন। কিন্তু কেন্দ্র সচিব আবুল কাশেম সরকার নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সে তালিকার শিক্ষকদের দায়িত্ব না দিয়ে ব্যানবেইজ বহির্ভূত শিক্ষক ওয়াজেদ আলীকে ১১ নং কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্ব দেন। পরে কেন্দ্র সচিবের স্বেচ্ছাচারীতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মিয়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকরা কেন্দ্র সচিব আবুল কাশেম সরকারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার কাছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ডকুমেন্টস আছে। সে অনুযায়ী ওই শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ওই ডকুমেন্টস দেখাতে ব্যর্থ হন।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস বলেন,
যদি এ রকম ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।