
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় গভীর সমুদ্র মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ভারতে আটক থাকার পর গত বুধবার ১১ জেলে বাড়ি ফিরেছেন। প্রায় তিন মাস পর বাড়িতে ফিরে আসায় তাঁদের স্বজনদের মাঝে বইছে আনন্দদের জোয়ার। মঙ্গলবার বিকল ৩টার দিক ওই ১১জন জেলে বেনাপোল সব বাদা অতিক্রিম করে বাংলাদশ আসেন। এর মধ্যে ৯জন পটুয়াখালীর বাউফলের চদ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা বাকি দুইজনের একজন ভোলার লালমাহনের নাজিরপুর ও আর একজন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ফেরত আসা ১১জন জেলেরা হলেন- উপজলার চদ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মোঃ বাবুল ব্যাপারী (৫০), একই ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন বয়াতী(৪০), আবুল মাতবর(৪৮), মোঃ সুমন(৩০), সোহরাব মাঝি(৩৭), সবুজ ব্যাপারী(৪৫), কামাল সরদার(৪০), কায়েস হাওলাদার, ফিরোজ খলিফা (৪০), ভোলার লালমাহনের নাজিরপুরের মোতাহার (৪০) ও বরিশালের মহদিগঞ্জর শ্রীপুরের করিম হোসোনে(৩৫)।
গত ১৭ আগস্ট চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মোঃবাবুল ব্যাপারীসহ ১২জন জেলে তাঁরা (বাবুল ব্যাপারী) এফবি সামিরা নামের ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে রওয়ানা হয়। ১৯ আগস্ট আর্কসিক ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। জেলেরা বাঁশ ও প্লাস্টিকের পাটের রশি ভেদে বেসে থাকে। প্রচণ্ড ঝড় জসিম হাওলাদার (২০) নামের এক জেলে সমুদ্রে নিখোঁজ হয় যায়। তাঁর খোঁজ আজও মেলেনি। বাকি ১১ জল ১৭ঘন্টা সমুদ্রে ভেসে থাকার পর ২০ আগস্ট ভারতের তালপট্রি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। পরের দিন (২১ আগস্ট) জোনাব মোল্লা নামের এক ভারতীয় জেলে তাদের উদ্ধার করে স্হানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্হা করেন। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ তাঁদের থানায় নিয়া যায়।
থানা থেকে জোনাব মাল্লা তাঁদেরকে নিজ জিম্মায় রাখেন। আইনী জটিলতার কারনে প্রায় তিন মাস তাঁদের ভারতে আটক থাকতে হয়েছে। বাড়ি ফিরে আসা জেলে মোঃ বাবুল ব্যাপারী সাংকাদিকদের বলেন,ঝড়ের কবলে আমাদের ট্রলার ডুবে যায়। পরে ভাসতে ভাসতে ভারতে প্রবেশ করি। আমরা কোন অপরাধ করিনি। তারপরও আইনী প্রক্রিয়ার নামে প্রায় তিন মাস আমাদের ভারতে আটক থাকতে হয়েছে।
এবিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আল-আমিন বলেন, জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনতে স্হা নীয় এমপি ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আনতুরিকতার সাথে চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের লেখনের মাধ্যমে (সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাঁরা (জেলেরা) দেশে ফিরে আসছেন।