পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৩নং ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার অভি
এর আগে চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বেদখলকৃত জমি উদ্ধার করে প্রশাসন। উদ্ধারকৃত জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাঁধা দেয় স্থানীয় একটি মহল। এতে বন্ধ রয়েছে ওয়াল নির্মাণের কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামের মৃত সামসুদ্দিনের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (৪৭) কয়েক বছর আগে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দেড় শতাংশ জমি দখলে নিয়ে আধা পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে। ওই দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দেলোয়ার হোসেন (৩৬) নামের এক ব্যক্তি চায়ের দোকান করেন। চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজেদুর রহমান উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ওই আধা পাকা ঘর ভেঙে দেয়। উদ্ধারকৃত জমিসহ ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ভূমি অফিসের সীমানাপ্রাচীর ও নিরাপত্তার জন্য বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করেন ভূমি মন্ত্রণালয়। ওই জমি নিজেদের দাবী করে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় আমিনুল ইসলাম মামুনের লোকজন।
এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজিদুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ওই অবৈধ দোকান ঘর ভেঙে ফেলার ঘটনায় চাঁদাবাজি মামলা করেন চা দোকানদার দেলোয়ার হোসেন। মামলায় ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির, ধুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান জুয়েল, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনসহ ৫জনকে আসামী করা হয়।
এবিষয়ে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু. হুমায়ন কবির বলেন, পরিষদের জমি সাবেক চেয়ারম্যানের সময়কাল থেকে বেদখল ছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২২তারিখ ডিসি মহোদয়ের নির্দেশে এসিল্যান্ড মহোদয় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে দোকান ঘর ভেঙে দেয়। চেয়ারম্যান হিসেবে আমি উপস্থিত ছিলাম মাত্র। তারপরেও আমিসহ ৫জনের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে।
এবিষয়ে মো. আমিনুল ইসলাম (মামুন) বলেন, পরিষদের মধ্যে আমাদের জমি রয়েছে। সেই জমিতে ঘর তোলা হয়েছিল। অবৈধভাবে আমাদের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার মো. সেলিম খান বলেন, চরচাঁদকাঠি মৌজায় ১৫নং দাগে ধুলিয়া ইউনিয়নের পরিষদের ২১শতাংশ জমির মালিকানা রয়েছে। প্রায় দেড় শতাংশ জমি বেদখল ছিল। উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সেই জমি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্থানীয় কয়েকজন বাঁধ দেয়।
এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজেদুর রহমান বলেন, ডিসি মহোদয়ের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকানঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন ওয়াল নির্মাণে কেউ বাঁধা দিলে সেটা ইউনিয়ন পরিষদ দেখবে।