
আরশাদ মামুন।
এক সময়ের অবহেলিত জনপদকে নিজের মেধা দক্ষতা প্রজ্ঞার সমন্বয়ে একটি আধুনিক জনপদে পরিনত, এলাকার সাধারণ মানুষের কল্যান সাধনে নিরলস পরিশ্রম করে সফল একজন মানবিক জনপ্রতিনিধি মাননীয় এমপি আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মহোদয়। যিনি স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল আসন বির্নিমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছেন। জিরো টলারেন্স নীতিতে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন দলমতের উর্দ্ধে থেকে মাদক সন্ত্রাসসহ সামাজিক অবক্ষয় মুক্ত একটি আধুনিক আসন গড়তে ঘোষণা দিয়েছেন এবং সে লক্ষ্যে কাজ করছেন। সামাজিক অবক্ষয় মুক্ত লালমোহন তজুমদ্দিন গড়তে এমপি শাওনের জিরো টলারেন্স নীতির ফলে বিপদগামী সিন্ডিকেট যত বিপত্তি শুরু করেন।
৩ বারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এর ভাবমূর্তি নস্ট করতে মাঠে নেমেছে এসব নস্ট মানুষরা। নিজেদের কৃতকর্মের কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা এলাকা ছেড়েছে। আর দূর থেকে এখন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে তারা। কাঁচা টাকার গন্ধে তারা নিজেদের স্বার্থে একজনের পর একজন টাকাওয়ালা খুঁজে নেয়। তারপর তাকে ভেজে খেয়ে আবার ছেড়ে দেয়৷ এদের মধ্যে কেউ গরু চোর, কেউ ইয়াবা ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে লালমোহন থানাসহ বিভিন্ন স্থানে মামলাও রয়েছে। এই গ্রুপের একজন মঙ্গলসিকদারের বাবুল হাওলাদার নিজের মাকে নির্যাতনের মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। মাদকাসক্ত পৌরসভার পাকার মাথার জিএস রিপন, লঞ্চঘাট রাস্তার মাথার ফয়সাল কিংবা গরু চোর মিজান কশাই সব এই চক্রের সদস্য।
যারা মাদক সেবন করে, তারা দলের হলেও বর্তমানে তারা দলের, সমাজের, রাষ্ট্রের এমনকি পরিবারের বিশাল বোজা। দল ও দলের কর্মি কেউই এদের কাছে নিরাপদ না।
তারা অতীতে দলের কাজ করলেও মাদক ব্যাবসা এবং সেবনের কারণে তারা দলের, সমাজের, রাষ্ট্রের এমনকি পরিবারের জন্য বোঝা। দলের নাম ভাংগিয়ে মাদক সেবন ও ব্যাবসা, জুয়া, নারী নির্যাতন, গরু চুরি, চাঁদা বাজি, ভূমিদখল সহ নানা গুরুতর অপরাধমুলক কর্মকান্ডের জন্য দলথেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরা সমাজের খারাপ শ্রেনীর এই সকল চিহ্নিত অপরাধীরা আজ কালো টাকার বিনিময়ে ঐক্য হচ্ছে। লালমোহনের শান্তিপ্রিয় মানুষরা আজ শংকিত, মা-বোনরাও আতংকিত। পুরো চক্রটি আওয়ামী লীগের লেবাসধারী হয়ে মুলত বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য এলাকার সকল শান্তি কামি মানুষ আজ আতংকিত। কি হবে লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষের ভাগ্যে? তবে কি এই এলাকার মানুষে জন্য আবার অপেক্ষা করছে ২০০১?
এক ব্যবসায়ী সাইনবোর্ড ব্যবহার করে লালমোহন ও তজুমদ্দিনের আওয়ামী রাজনীতিকে বিভ্রান্ত করতে এদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
সুতরাং এ সকল তথাকথিত আওয়ামী লীগ নামধারীদের ষড়যন্ত্র থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এদের প্রতিহতের মাধ্যমে সকল দেশ বিরোধী অপরাজনীতির মূল উৎপাটনের মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পথ সুগম করার এখনই সময়।