আরশাদ মামুন।
লালমোহন ধলিগৌরনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেকমো কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে সেবা প্রদানের নামে রোগীর নিকট থেকে অর্থ আদায় ও দাবীকৃত অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে চরম অশোভন আচরনসহ সেবা দিতে তালবাহানাসহ বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে। এমনকি ডেলিভারি প্রতি কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নিজেই স্বীকার করেন জেলা সিভিল সার্জনের নিকট। সরকারি চাকুরী বিধিমালা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রোগীর নিকট থেকে অর্থ আদায়ের দায় স্বীকার করলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএস কর্তৃক কেবল মাত্র কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েই জেনো দায়সারা কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ, নোটিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ধলিগৌরনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা সেকমো কোহিনুর বেগম এখানে যোগদানের পর থেকেই অনিয়মকে নিয়মে পরিনতে সিদ্ধ হস্ত। তার দাবীকৃত অর্থ না দিলে কোন প্রকার সেবা পাওয়া দু:সপ্নের ন্যায় ধরা দেয় রোগীদের নিকট। ঘুষ বানিজ্য বেপরোয়া সেকমো কোহিনুর প্রতি ডেলিভারিতে কমপক্ষে ৫/৬ হাজার টাকা আদায় করেন। সরকারি চাকুরী বিধিমালা ভঙ্গ করে এমন অর্থ আদায়ের কথা জেলা সিভিল সার্জনের নিকট স্বীকার করেন অকপটে। যার প্রেক্ষিতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী নাম মাত্র একটি কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এরপর কার্যত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে সূত্র জানায়। নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে সেকমো কোহিনুর বলেন, আমি যা করেছ উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশেই করেছি বলে আর কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে সেকমো কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগের পরও কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভুক্তভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Leave a Reply