
আরশাদ মামুন।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে ভোলার লালমোহনের ঈদের বাজার। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে জামা-কাপড়ের দোকানগুলো। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলছে এ ব্যস্ততা। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের মধ্যে চলছে পছন্দের পোশাক কেনাকাটা। যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীদের উপস্থিতিই বেশি। ১৫ রমজানের পর থেকে জমতে শুরু করে ঈদের শপিং।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, নারী ও শিশুদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। ঈদ মার্কেটে এ বছর বেশি চাহিদা সারারা-গারারা থ্রি পিস, নায়রা কাট ড্রেস, টু-পিস কামিজ-সেলোয়ার, গাউন ও বিভিন্ন ব্রান্ডের শাড়ি। এছাড়া পুরুষদের চাহিদা বেশি পাঞ্জাবিতে। কেবল পৌরসভার দোকানগুলোই নয়, এরইমধ্যে জমে উঠেছে গ্রাম-গঞ্জের হাঁট-বাজারগুলোও।
লালমোহন পৌরসভার হাইস্কুল সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, এ বছর ঈদ উপলক্ষে বেচা-কেনা অনেক ভালো। তবে পোষাকের দাম একটু বেশি। যা নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে অনেক দামাদামি করতে হয়। যে জন্য অল্প লাভেই পোষাক বিক্রি করছি।
ঈদ উপলক্ষে পোশাক কিনতে আসা তুলি, আফসু ও পপিসহ কয়েকজন নারী ক্রেতা জানান, পোষাকের দাম আগের তুলানায় অনেক বেশি। কোনো পোষাক পছন্দ হলেই দোকানদাররা আকাশ ছোঁয়া দাম চাচ্ছেন। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই দোকানদারদের নির্ধারিত মূল্যে পছন্দের পোষাক কিনতে হচ্ছে।
উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাইস্কুল মার্কেটে ঈদ শপিং করতে আসা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, নিজের পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য শপিং করতে এসেছি। রোজার শেষের দিকে মার্কেটে অনেক ভিড় থাকবে, এজন্য একটু আগেভাগে এসেছি। বিভিন্ন দোকান ঘুরে যতটুকু মনে হয়েছে; বিগত বছরের চেয়ে এবছর পোষাকের দাম অনেক বেশি। তবুও ঈদ উপলক্ষে নিজের সাধ্যের মধ্যে যা পাওয়া যাচ্ছে তাই কিনছি।
ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা পুলিশের পেট্রোলিং টিমের মাধ্যমে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত টহল অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া কারো কোনো সমস্যা হলে থানায় যোগাযোগ করলে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করবো। অন্যদিকে, ঈদকে ঘিরে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা নিয়মিত চেকপোষ্ট অভিযান পরিচালনা করছি।