নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কচুবনিয়াস্থ ওয়ার হাউজে কর্মরত ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেডের স্থানীয় ৪ নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে ত্রিপল(তেরপাল) চুরির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক!
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএনএসসিআর এর অর্থায়নে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক এর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিতরণযোগ্য মালামালের গুদাম ঘর পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পান সিকিউরিটি সংস্থা ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেড। উক্ত সিকিউরিটি সংস্থায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন শতাধিক স্থানীয় যুবক।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দায়েরকৃত ব্র্যাকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্র্যাকের ওয়ার হাউজ থেকে ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকার তেরপাল রাতের আধারে কিছু চোর ও নিরাপত্তা কর্মীদের যোগসাজশে গুদাম ঘর থেকে সরিয়ে পেলে।
এরই সূত্র ধরে কক্সবাজার সদর ইউপির ১১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্র্যাকের লজিস্টিক সুপার ভাইজার নাজমুস সাকিব স্থানীয় ৪ নিরাপত্তা কর্মী যথাক্রমে উখিয়া শৈলর ঢেবার আজিজুল হকের পুত্র আবু নাসের, রাজাপালং এর মৃত মীর কাশেমের এর পুত্র ছৈয়দ নুর, ঘুমধুম ৫নং ওয়ার্ডের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র জাহেদ আলম, খিজারী ঘোনার ছৈয়দ আলমের পুত্র জকির আলমকে বাদী করে ২৭ এপ্রিল একটি চুরি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় গত ৮ মে সন্ধ্যায় ব্র্যাকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলার জন্য ডেকে স্থানীয় ৪ ইউরো ভিজিলের নিরাপত্তা কর্মীকে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সৌপর্দ করেন, পরবর্তীতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অথচ উক্ত ওয়ার হাউজের চতুঃপার্শ্বে ২৪টি সিসি ক্যামরা রয়েছে সেগুলোর ফুটেজ আটককৃত নিরাপত্তা প্রহরীর আত্বীয়-স্বজন, সাংবাদিক ও ইউরো ভিজিল কতৃপক্ষকে দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ব্র্যাক কতৃপক্ষ।
১০ মে বুধবার সকাল থেকে এলাকাবাসী স্থানীয় ৪ যুবক ব্র্যাকের ওয়ার হাউজের নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং আটকের কারণ জানতে ব্র্যাকের কচুবনিয়াস্থ ওয়ার হাউজের সামনে লজিস্টিক অফিসার জুয়েল ও ব্র্যাকের সিকিউরিটি ইনচার্জ সোহেল রানাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় কারান্তরিত ৪ নিরাপত্তাকর্মীর আত্বীয় স্বজন কুতুপালং রাস্তার মাথাস্থ ব্র্যাকের এরিয়া অফিসে যোগাযোগ করলে ব্র্যাক এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সমস্ত দায়-দায়িত্ব সিকিউরিটি পার্টনার ইউরো ভিজিল প্রাইভেট লিমিটেডের সুপারভাইজার নয়ন পালের বলে জানান।
তবে সুপার ভাইজার নয়ন পাল জানালেন তাদের ৪ নিরাপত্তা কর্মী চুরির সাথে যে জড়িত সে রকম কোন তথ্য পায়নি তারা বরং তাদেরকে সিসিটিভির ফুটেজ সরবরাহ করছেনা ব্র্যাক কতৃপক্ষ। গত বছর কচুবনিয়াস্থ উক্ত ওয়ার হাউজ থেকে ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগে ৪ লজিস্টিক কর্মকর্তাকে তড়িঘড়ি করে চাকরিচ্যুত করেন ব্র্যাক কতৃপক্ষ।
স্থানীয় ৪ যুবকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিকিউরিটি ইনচার্জ সোহেল রানার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের কোন তথ্য দিতে রাজি হননি, বরং তিনি সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
আটককৃত নিরাপত্তা প্রহরীদের আত্মীয়-স্বজনের দাবী ওয়ার হাউজে দায়িত্বরত অসাধু লজিস্টিক অফিসাররা মালামালগুলো আত্মসাৎ করে নিরাপত্তা প্রহরীদের উপর দায় চাপাচ্ছে যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলে জানা যাবে। তারা অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা থেকে স্থানীয় ৪ যুবকে অব্যাহতি দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।