লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাতের আঁধারে ও দিনের বেলায় জবরদখল করে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছলেমান মিস্তিরি বাড়ির মোঃ মফিজুল ইসলাম মিস্তিরি জে.এল নং-২৫ মৌজার কচুয়াখালী এস.এ ৩৩৪ দাগ নং-২২২৫ ও ২২২৬ হালে ৯২১ নং ডিপি খতিয়ানের হাল ৪৪০২ দাগে খরিদীয় সম্পত্তিতে দীর্ঘ দিন যাবত বাড়ি ঘর নির্মান করিয়া ভোগ দখলে ছিলেন মফিজুল মিস্তিরি।
হঠাৎ করে একই বাড়ির মোঃ জহিরউল্লার ছেলে বাচ্চু গংরা এই জমি দখলের জন্য উঠে পড়ছে এবং ওই স্থানে থাকা একটি টিনের ঘর ভেঙে সরিয়ে ফেলে। এ নিয়ে তার সাথে জমি বিরোধ হলে এই জমি সংক্রান্তে সুবিচার পেতে ২২-৩-২৩ সালে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন মফিজুল মিস্তিরি যার (মামলার মোকদ্দমা নং-১৯৯/২০২৩খ্রি)। এই বিরোধীয় জমির উপর স্থিতিতাদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করিয়া ৭ মার্চ দিবাগত রাতে থেকে ঘর উত্তোলন করেন জহিরউল্লার ছেলে বাচ্চু গংরা।
ভুক্তভোগী মফিজুল মিস্তিরি অভিযোগ করে বলেন, আদালতের স্থিতিতাদেশ অমান্য করে নিজের প্রভাব খাটিয়ে জোড় ঝুলুম ও ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন বাচ্চু গংরা। পরে এ বিষয়ে আমি লালমোহন থানায় অভিযোগ করিলে লালমোহন থানার এস.আই মাহাবুব ঘটনাস্থলে আসেন।
(২৩ মে মঙ্গলবার) সরেজমিনের ঘটনা গুলো দেখাতে আমি দুইজন সাংবাদিক ঘটনা স্থল আনলে তারা দেখেন ওই জমিতে একটি বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করছেন বাচ্চু গংরা। পরে সাংবাদিক ভাইয়েরা এ সকল তথ্য সংগ্রহ করে ঘটনা স্থান থেকে চলে গেলে বাচ্চু গংরা ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ধারালো দা, ছেনি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে মারতে আসে। এক পর্যায়ে আমাকে রক্তাক্ত ও জখম করে। পরে আমি আহত হয়ে ডাকচিৎকার করলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে আমি এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এখন আমি প্রশাসনের কাছে এমন ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাচ্চু গং এর কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এ জমি নিয়ে আমাদের আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমরা এসিল্যান্ড ও ওসির নির্দেশে এই ঘর উত্তোলন করছি।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার এস.আই মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জমিটি বিবাদীর ভোগদখলে রয়েছে এবং বিবাদী তার ভোগদখলীয় জমিতে ঘর উত্তলন করছে।