মোঃ নুর আলম গোপালপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি
কামারশালাগুলোতে টুং-টাং শব্দেই যেন জনাन দিচ্ছে আর কদিন পরেই ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটি অত্যাবশ্যকীয়। সেগুলো সংগ্রহ ও প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এর উপকরণ তৈরি ও শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজে প্রয়োজন কামারদের। পশু কোরবানির দা, ছুরি ও চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামারপাড়ায় ভিড় জমাচ্ছে আবার কেউ কেউ পুরনো সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।
ঘুরে দেখা যায়, গোপালপুর পৌর শহরের সুতি ও কোনাবাড়ী বাজার কামার পট্টি, ছোট বগী কামার পট্টি সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসব সরঞ্জাম তৈরি করা হচ্ছে।
সবগুলো কামারের দোকানে রাতদিন হাতুড়ি দিয়ে গরম লোহার টুকরার ওপর একের পর এক আঘাত করছেন। দেখতে দেখতে এটি চাপাতি তৈরি হচ্ছে। সেটা কিছুক্ষণ হাতুড়ি পেটানোর পর আবারও আগুনে পোড়ানো হচ্ছে। কেউ আবার শান দিচ্ছে লোহার তৈরি পুরাতন সরঞ্জামুগুলোতে।
কামাররা জানান, দা আকৃতি ও লোহাভেদে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছুরি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাকু প্রতিটি সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি প্রতিটি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং পুরনো দা, বঁটি, ছুরি শান দিতে বা লবণ-পানি দিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।
কামাররা জানান দিনরাত পরিশ্রম করে আগের মত আর মজুরি পাওয়া যায় না, কারণ দিন দিন এর চাহিদা কমিয়ে আসছে, দিনে দিনে লোহা এবং কয়লার দাম অনেক বৃদ্ধি আমাদের এখন আর আগের মতো লাভ হয় না, বাপ দাদার পেশা বলেই আমরা এটা ধরে রেখেছি।
Leave a Reply